বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
- By Jamini Roy --
- 16 December, 2024
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী। এই গৌরবময় দিনে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে তারা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ড. ইউনূস ও প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তার সঙ্গে ছিল একটি আবেগঘন পরিবেশ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিসৌধে নীরবতা পালন করেন তারা।
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি নীরবে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণ করেন। এরপর তিনি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিশেষভাবে সজ্জিত করা হয়। গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ধুয়ে-মুছে সাজানো হয়েছে শহীদ বেদি পর্যন্ত প্রতিটি পথ। লাল ইটের হাঁটাপথ সাদা রঙের ছোঁয়ায় নতুন মাত্রা পেয়েছে। বর্ণিল ফুলগাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে চারপাশ।
নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। স্মৃতিসৌধ এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এবং বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণিল আলোয় সেজেছে রাজধানী ঢাকা। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই লাল-সবুজের আলোকচ্ছটায় ঝলমল করছে পুরো নগরী। রাস্তা, সেতু এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ঝলমলে আলোকসজ্জা মুগ্ধ করেছে নগরবাসীকে। বিজয়ের এ গৌরবগাথায় শহরবাসী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে।
মহান বিজয় দিবস কেবল একটি দিবস নয়; এটি বাঙালির আত্মত্যাগ, গৌরব এবং স্বাধীনতার স্মারক। নতুন প্রজন্মের জন্য এ দিবস চিরদিন দেশপ্রেমের এক অমূল্য শিক্ষার উৎস হিসেবে থাকবে।